স্কেপ টু ইরাবতী, সুন্দরবন (নন এসি জাহাজ) ৪

প্রানীর অভ্যয়রণ্য, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনা, বিচিত্র বুনোজীবন,অরণ্য মিলেছে সাগরে,জালের মত ছড়ানো নদী আর খাল এমন সব বিচিত্র এক প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়েই সুন্দরবনের বিস্তৃতি।সুন্দরবনই সেই বন যা গঙ্গা নদীর অববাহিকায় গভীর পলিমাটিতে গড়ে উঠেছে।
🕊️ দুইরাত জাহাজে
🕊️ একরাত ইরাবতী রিসোর্টে 

❑❑ সময়কাল: ৪ দিন ৩ রাত

❑❑ দর্শনীয় স্থান সমূহ:
❖ ইরাবতী ইকো রিসোর্ট এন্ড রিসার্চ সেন্টার
❖ হাড়বাড়িয়া, আন্ধারমানিক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র 🐆
❖ কটকা অভয়ারণ্য 🦌
❖ কটকা অফিস পাড় ও ওয়াচ টাওয়ার, জামতলা সী-বীচ 🐬
❖ ডিমের চর
❖ কচিখালি
❖ কচিখালি ক্যানেল ক্রূজিং।
❖ করমজল (মিনি চিড়িয়াখানা🐒🦌🐊🐍এবং কুমির প্রজনন কেন্দ্র)

❑❑ আমাদের এই প্যাকেজে যা যা অন্তর্ভুক্ত থাকবে –
★ ঢাকা-মংলা/খুলনা-ঢাকা নন-এসি বাস
★ মংলা/খুলনা- সুন্দরবন- মংলা/খুলনা নন-এসি শিপ
★ ইরাবতী ইকো রিসোর্টে এক রাত এক দিন
★ ডিঙ্গি নৌকায় স্থানীয় বাওয়ালী/ মাওয়ালী মানুষের সাথে সুন্দরবনের সরু ক্যানেলে সাইট সিয়িং
★ বারবিকিউ নাইটের সাথে থাকছে সুন্দরবনের ঐতিহ্য নিয়ে গাওয়া গান এবং বনবিবির পালা (অতিরিক্ত খরচ সাপেক্ষে)
★ প্রতিদিন সুস্বাদু, রুচিসম্পন্ন, পরিচ্ছন্ন এবং উপাদেয় খাবার
★ দিনে দুবার নাস্তা/স্ন্যাকস
★ চা কফি এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা
★ মিনারেল ওয়াটার এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা
★ বার-বি-কিউ পার্টি
★ জেনারেটরের ব্যাবস্থা
★ ভ্রমণ কর (বন রাজস্ব)
★ স্পট এন্ট্রি ফি/ট্রাভেল ট্যাক্স ( শুধু মাত্র বাংলাদেশীদের জন্য)
★ ফরেষ্ট রেভিনিউ ও ফরেষ্ট ফি
★ অভিজ্ঞ ও শিক্ষিত ট্যুর গাইড
★ বন বিভাগ থেকে পারমিশন ও সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী
★ বনের ভেতরে প্রবেশ ও জঙ্গলট্রেকিং এর জন্য ছোট ডিঙ্গি নৌকা

❑❑ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত নয় –
★ ব্যক্তিগত কোন ঔষধ।
★ ব্যক্তিগত কোন কেনা-কাটা।
★ ক্যামেরা বা ভিডিও ক্যামেরার এন্ট্রি ফি।
★ ফেরার দিন রাতের খাবার।

❑❑ সাথে যা যা নিবেন –
★ টেলিটক সিম কার্ড,
★ প্রয়োজনীয় ঔষধ,
★ টুথ ব্রাশ ও পেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, ব্যাক্তিগত অভ্যাসের সামগ্রী,
★ ক্যাপ, সান গ্লাস, সানস্ক্রিন লোশন, পোকামাকড়ের স্প্রে,
★ ক্যামেরা(চার্জ প্রযোজ্য), মেমরি কার্ড ও পাওয়ার ব্যাংক,
★ দূরবীন, ফ্ল্যাশ লাইট
★★ ড্রোন নেয়া যাবে না।

❑❑ সুন্দরবন ভ্রমণের করনীয় –
★ উজ্জল রঙ্গের জামা-কাপড় (যা সহজেই নজর কাড়ে অনেক দূর থেকে) পরিহার করুন। হালকা রঙের এবং ঢিলে-ঢালা ফুলহাতা পোশাক পরা।
★ কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা।
★ পানিতে ভিজলে কিছু হবে না এমন সেন্ডেল যার পিছনে বেল্ট আছে এবং একই ধরনের কেডস সাথে নিতে হবে। সু/ হাই হিল নিবেন না।
★ সুটকেস/লাগেজের সাইজ এরকম এডভেঞ্চার ট্যুরে ছোট হওয়াই ভালো।
★ জঙ্গলে নামার পর সবাই সথাসম্ভব নিচু স্বরে কথা বলব, কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং ট্রাকিংএর সময় খুব প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলাই শ্রেয়।
★ প্রয়োজনীয় সব কিছু যেহেতু আমরা খুলনা থেকে নিয়ে উঠবো তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা, খাবার অযোগ্য) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
★ জঙ্গলে সবাইকে সু-শৃক্ষল ও সারিবদ্ধ হয়ে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট মনভাব প্রকাশ করা যাবে না।
★ গাছের ডাল, পাতা বা লতায় ছেড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
★ পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না। বিঃ দ্রঃ এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাই এটি শাস্তিযোগ্য।
★ স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। কোন কমপ্লেইন থাকলে তা আমাদের দায়িত্ববান কাউকে জানানো।
★ গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা, নিষেধ কেন করেছে তা জেনে নিতে পারেন।
★ আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের আনন্দদায়ক ভ্রমণ এবং নিরাপত্তার জন্য, তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।

❑❑ ভ্রমণবৃত্তান্ত –

★★ ১ম দিন :
যাত্রা শুরু: মংলা/খুলনা থেকে আমাদের ট্যুর গাইড আপনাদের রিসিভ করে ট্রলারের মাধ্যমে নির্ধারিত ক্রজে নিয়ে আসবে। তারপর ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা। দুপুরের মধ্যেই আমরা চাঁদপাই ফরেস্ট অফিস পৌছাবো। বন বিভাগের পারমিশন ও গার্ড নিয়ে বিকালের মধ্যে হাড়বাড়িয়া এবং আন্ধারমানিক ইকো ট্যুরিজম স্পটগুলো দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর বনের ভিতর দিয়ে ছোট বড় ক্যানেল পার হয়ে কটকা/কচিখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত ১ টায় পৌছানো এবং রাতে শিপের ক্যাবিনে রাত্রি যাপন ।
★★ ২য় দিন :
খুব ভোরে ট্রলারে করে কটকার অফিস পাড় (ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে সেখানে প্রচুর হরিন দেখা পেতে পারি) হয়ে জঙ্গলের ভিতরে ট্রেকিং করে ওয়াচ টাওয়ার দেখে জামতলা সি বীচ পাড়। সেখানে হরিন,বানর, মাছরাঙ্গা,বনমোরগ,বন্য শূকর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলী উপভোগ করা হবে এর পর যাবো ওয়াচ টাওয়ারে। বোটে ফিরতে ফিরতেই আমাদের দুপুর হবে।
এরপর লাঞ্চ চলতে চলতেই আমরা কচিখালীর উদ্দেশ্যে রওনা করে ডিমের চর যাব (যদি জোয়ার-ভাঁটা, আবহাওয়া অনুকূল থাকে) ও বিকাল ৪ টায় অসম্ভব সুন্দর কচিখালীতে ঘুরাঘুরি এবং কচিখালির খালে ক্যানেল ক্রজিং করে সন্ধ্যার মধ্যে শীপে ফিরে আসব। রাতে বার-বি-কিউ ডিনার করে জাহাজের ক্যাবিনে রাত্রি যাপন।
★★ ৩য় দিন :
সকালের নাস্তা খেয়ে হয়ে করমজল ইকো ট্যুরিজম স্পট পরিদর্শন। করমজলে নেমে প্রচুর বানর, হরিন, কুমিরের প্রজননকেন্দ্র দেখতে পাওয়া যাবে। এখানে ২ ঘণ্টার মতো ঘুরে ইঞ্জিন বোটে করে ইরাবতী, যেতে লাগবে ঘণ্টা খানেক। দুপুরে ইরাবতী ইকো রিসোর্টে নিজেদের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করবো পরে ঘুরে দেখা। রাতে বারবিকিউ এবং বনবিবির পালা হবে। পালা সম্পন্ন করে নিজ নিজ রুমে রাত্রিযাপন। 
★★ ৪র্থ দিন : খুব ভোঁরে উঠে ক্যানেল ক্রজিং ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে। ক্যানেল ক্রজিং শেষে ইরাবতী থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে চেক-আউট করে মংলার উদ্দেশ্যে ইঞ্জিন বোটে করে যাত্রা। সবশেষে নন-এসি বাসে করে ঢাকায় ফিরে আসা। 

বিঃ দ্রঃ জোয়ার ভাটার কারনে ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যবধান হতে পারে বা রুট পরিবর্তন হতে পারে।

❑❑ বুকিং এর জন্য টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া -

★ নিশ্চিতকরণের সময় 50% পেমেন্ট করতে হবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে অর্থপ্রদানের জন্য অনুগ্রহ করে ক্যাশ আউট চার্জ যোগ করুন (প্রতি হাজারে ২০ টাকা)।

★বিকাশ ব্যক্তিগতঃ ০১৮৪১০৮১০৬৫

★ব্যাংকের নামঃ ব্রাক ব্যাংক।

★ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার: আব্দুল্লাহ জুবায়ের হীরা

★ অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২১০ ১১০ ৩৯৬ ৮৭৮ ৪০০১

★গোপালগঞ্জ এসএমই শাখা।

[বিঃ দ্রঃ বুকিং মানি ফেরতযোগ্য নয়]

 ❑❑ যোগাযোগের ঠিকানা -

 প্রধান কার্যালয়ঃ H-২২/২০/ঘ, সোনাডাঙ্গা 2nd R/A, খুলনা ৯০০০

 ঢাকা অফিসঃ ৭৮ মতিঝিল, ৯ম তলা, বি/এ, ঢাকা ১০০০

 ইমেইল - azheera@gmail.com, spacetours.bd@gmail.com

 ওয়েবসাইট – www.spacetours-travels.com

❑❑ ভ্রমণ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য-

 📞 জুনাইদ আল মুসা - ০১৯৭৬৮১৮৩৩৮

 📞 এ জেড হীরা - ০১৮৪১০৮১০৬৫

       (উভয় নম্বরেই হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয়)